শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের জেলা পর্যায়ে ত্রাণের চাহিদা পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে গত দুই দিনে প্রায় ১১ হাজার মেট্রিকটন চাল এবং আড়াই কোটি নগদ টাকার চাহিদা এসেছে।
গত ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৬৪টি জেলায় সর্বশেষ ৩৯ হাজার মেট্রিকটন চাল ও ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন চতুর্থ দফায় আরো ত্রাণ বরাদ্দের জন্য কাজ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আজ বিকেল পর্যন্ত আরো কিছু চাহিদা আসলে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন বরাদ্দ মঞ্জুর করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে উল্লিখিত চাহিদার কথা জানা গেছে। বিকেলের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ জেলায় ছাড়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। সামনের দিনে আরো কিছু ত্রাণ লাগবে। তাই আগে থেকেই জেলা প্রশাসন চাহিদা পাঠাচ্ছে। আমরাও বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বলেন, কেবল জেলা প্রশাসন থেকে চাহিদা আসার জন্য আমরা বসে থাকি না। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও জেলাপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে কাদের কেমন ত্রাণ লাগতে পারে তা তদারকি করা হয়। যাতে কোথাও ত্রাণের সংকট দেখা না দেয়।
এদিকে গত ২৯ মার্চ মন্ত্রণালয় থেকে যাওয়া ত্রাণ যথাযথ বন্টনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে বিত্তশালী ব্যক্তি, সংগঠন, এনজিওর পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম নেওয়া হলে তার সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তালিকা সমন্বয় করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাতে দ্বৈততা পরিহার করা যায় এবং কোনো উপকারভোগী বাদ না পড়েন।
এর আগে ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিক্সাচালক, ভ্যানগাড়ি চালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার অর্থ্যাৎ যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালায় তাদের কেউ যেন সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা থেকে বাদ না পড়েন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।